ইউটিউব চ্যানেল রিমুভ হওয়ার বিভিন্ন রকমের কারণ রয়েছে। আপনি যদি ইউটিউব কমিউনিটি গার্ড লাইন বন্ধ করেন অথবা পরপর তিনটা স্ট্রাইক খান অথবা একই ভিডিও বারবার আপলোড করেন তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল রিমুভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া আমরা আরো অনেক কিছু কমন ভুল করে থাকি যার কারণে আমাদের ভুল কারণে আমাদের সরকার youtube চ্যানেলটা হারিয়ে বসি। আজকের এই ভিডিওতে কি কারণ আপনার ইউটিউব চ্যানেল রিমুভ কিংবা বেন হতে পারে তা সম্পূর্ণ বিস্তারিত আপনাদেরকে বুঝিয়ে দেব।
ইউটিউব চ্যানেল রিমুভ হয়ে যাওয়ার (বা নিষ্ক্রিয় হওয়ার) প্রধান কারণগুলো
ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করা
ইউটিউবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা ও গাইডলাইন রয়েছে। এই নীতিমালা এখন গাইডলাইনগুলো ভঙ্গ করলে যে কোন সময়ই আপনার ইউটিউব চ্যানেল রিমুভ হতে পারে। আপনি যখন কমিউনিটি গাইডলাইন বন্ধ করবেন তখন আপনার চ্যানেলে স্ট্রাইক আসবে। পর পর ৯০ দিনের ভিতরে তিনটি স্ট্রাইক যদি আপনি খেয়ে বসেন তাহলে আপনার চ্যানেলটি youtube থেকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাই যখন আপনি প্রথম স্ট্রাইক খাবেন তখনই আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
Copyright আইন লঙ্ঘন
সাধারণত কপি কোন কিছু আপলোড করা কে কপিরাইট আইন বলা হয়। অন্য একজন ইউটিউবারের ভিডিও, মিউজিক, ছবি, বা সিনেমার অংশ ইত্যাদি কোনোকিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আপনি কপিরাইট আইন ভঙ্গ করবেন। কপিরাইট আইনমন করলেও আপনাকে স্ট্রাইক মারা হবে। একইভাবে ৯০ দিনের ভিতরে পরপর তিনটি স্ট্রাইক খেলে আপনার চ্যানেল যে কোন সময় রিমুভ করতে পারে।
আপনি যখন অন্যজনের ভিডিও ক্লিপ আপলোড করবেন অথবা অন্যজনের মিউজিক আপলোড করবেন তখন আপনাকে ওই মিউজিক ওনার এবং ভিডিও ওনার যে কোন সময় স্ট্রাইক দিতে পারে।
স্ট্রাইক খাওয়ার ফলে আপনার মনিটাইজ চলে যেতে পারে এবং পরপর তিনটে স্ট্রাইক খাওয়ার পরে ৯০ দিনের ভিতরে আপনার চ্যানেল রিমুভ হতে পারে।
Reused Content (পুনর্ব্যবহৃত কনটেন্ট)
বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিচ্ছে Reused Content ব্যবহারের কারণে । আপনি যদি অন্য একজন ব্যক্তির কোন কপি ভিডিও বা কোনো ক্লিপ আপনার চ্যানেলে আপলোড করেন তাহলে সেটাকে Reused Content বা কপিরাইট ভিডিও বলা হয়।।অথবা আপনি যদি নিজের ভিডিও নিজে একাধিক চ্যানেলে আপলোড করেন সেটাকেও Reused Content (পুনর্ব্যবহৃত কনটেন্ট) বলবে। Reused Content (পুনর্ব্যবহৃত কনটেন্ট) এর কারণে আপনার চ্যানেলের মনিটাইজ থাকলে যেকোনো সময় চলে যেতে পারে অথবা মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করলে আপনার চ্যানেলে মনিটাইজ পাবেন না।
ক্লিকবেইট বা Misleading Title/Thumbnail
ক্লিকবেইট অথবা ভুল কিছু উপস্থাপন করলে যে কেউ আপনার ভিডিওটা স্ট্রাইক মারতে পারে। আপনার ভিডিওর থাম্বেলে এমন কিছু লেখা আছে কিন্তু ভিডিওতে ক্লিক করে তার সাথে কোন মিল পাওয়া যায়নি এমন কিছু হলে যে কেউ আপনার চ্যানেলের রিপোর্ট করতে পারে। ফলাফল সরূপ যে কোন মুহূর্তে আপনার চ্যানেলে মনিটেস থাকলে মনিটাইজ চলা যেতে পারে অথবা আপনার চ্যানেলটি রিস কমে যেতে পারে।
AdSense নীতিমালা ভঙ্গ
আপনি যদি ইউটিউবে শো করা বিভিন্ন ভিডিওতে ভুয়া উপায়ে ক্লিক করেন অথবা যদি আপনি অন্যকাউকে দিয়ে ভুয়া ক্লিক করেন, তাহলে যেকোনো সময় আপনার AdSense account সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে। কারণ কাউকে যখন আপনি আপনার ভিডিওর ক্লিক করতে বলবেন তখন আপনার CTR হাই হয়ে যাবে। CTR বেশি হলে আবার গুগল এডসেন্স যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গুগল এডসেন্স বন্ধ হয়ে গেলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকেও আপনার আয় বন্ধ হয়ে যাবে।
More Read : ইউটিউব ভিডিও SEO ( Search Engine Optimization) কিভাবে করবেন? সম্পূর্ণ গাইডলাইন।
কিভাবে নিজেকে সতর্ক থাকবেন?
সবসময় নিজের তৈরি কনটেন্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি একজন সফল ইউটিউবার হতে চান তাহলে নিজের মেধা দিয়ে নিজে নিজে কন্টাক তৈরি করার কোন বিকল্প নেই। ইউটিউব থেকে Creative Commons এর ভিডিও ব্যবহার করলেও আপনাকে proper credit দিতে হবে। অন্যতায় যেকোনো সময় ভিডিও মালিক আপনাকে স্ট্রাইক মারতে পারে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিটি ভিডিও আপলোড করার আগে ইউটিউবের নীতিমালা পড়ে নিন ওবং সঠিক নিয়মে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করুন।
আপনি যদি চ্যানেল টিকিয়ে রাখতে চান
তাহলে আপনাকে YouTube-এর সম্পূর্ণ গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। নিজের প্রচেষ্টায় আসল কনটেন্ট তৈরি করুন যাতে ইউটিউব এলগরিদম বুঝতে অয়ারে যে আপনাই ইউটিউব কে পেশা হিসেবে নিয়েছেন।কখনো অনলাইন থেকে ভুয়া সাবস্ক্রাইব বা ওয়াচ টাইম কিনবেন না। এসব করে কখনো আপনি একজন সফল ইউটিউবার হতে পারবেন না।
আপনি যদি সফলভাবে এবং সঠিকভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি তৈরি করতে চান এবং সামনে এগিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে উপরের এই নিয়ম কানুন গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এই নিয়মগুলো মেনে চলতে না পারলে আপনার চ্যানেলটাকে আপনি এটিও প্লাটফর্মের টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। তাই উপরের বিষয়গুলো মেনে চলে একজন নিজেকে সকলে প্রতিষ্ঠিত করুন।