• Home
  • Health Tips
  • শরীরের অলসতা দূর করবেন কিভাবে? নিজেকে অলস মুক্ত করুন সহজে
শরীরের অলসতা

শরীরের অলসতা দূর করবেন কিভাবে? নিজেকে অলস মুক্ত করুন সহজে

Spread the love

সারাদিন কি আপনার অলস লাগে? তবে শরীরের অলসতা দূর করতে পারছেন না। শরীরের অলসতা দূর করতে চাইলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে বাস্তব জীবনে। যদি আপনার চলাফেরার ঠিক না থাকে এবং আপনি যদি রুটিনের বাইরে গিয়ে কোন কিছু করেন তাহলে আপনার শরীরের অলসতা লেগেই থাকবে। তাই শরীরের অলসতা দূর করার জন্য আমরা আপনাদের জন্য সরি টেকনিক নিয়ে এসেছি, যা পালন করলে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে এবং শরীরের কোন ধরনের অলসতা থাকবে না।

সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে শিখুন
সকালে আপনি যত দেরিতে ঘুম থেকে উঠবেন আপনার শরীরের অলসতা তত বাড়বে। বাস্তব জীবনে নিজেকে অলস মুক্ত করার জন্য সকাল-সকাল আপনাকে ঘুম থেকে উঠতে হবে। আমরা অনেকেই চেষ্টা করো সকালে ঘুম থেকে দ্রুত উঠতে পারে না। তবে আপনি যদি টানা ১৫ থেকে এক মাস পর্যন্ত সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করেন তাহলে ওই একই টাইমে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। যখন একবার ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস হয়ে যাবে তখন আপনাকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার জন্য নিজের শরীরের উপর প্রেসার দিতে হবেনা।

সকালে ৩০ মিনিটের জন্য তাজা বাতাসে হাটুন
সকালে ফজরের নামাজের পরে আপনি যদি ৩০ মিনিট বাতাসে থাকার চেষ্টা করুন অথবা থেকে এক ঘন্টা যদি বাইরের আবহাওয়া নিজের শরীরে লাগাতে পারেন তাহলে আপনাকে অলস মুক্ত করতে সহায়তা করবে।কেননা সকালের তাজা বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।নিজেকে সুস্থ রাখতে সকালে ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে একটু বাতাসে রাখার চেষ্টা করুন।

পাঁচটি বাদাম চারটি কাজু চারটি কিসমিস সন্ধ্যায় ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খান
বিভিন্ন রকমের বাদাম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এখন পাশাপাশি কিসমিস আমাদের শরীরের ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। আমাদের শরীরকে সারাদিন সুস্থ অবন ক্লান্ত মুক্ত রাখতে সকালে পানির পাশাপাশি কিসমিস এবং বাদাম খাওয়ার রুটিন করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে কোটার সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ৩০ মিনিট হাঁটার পরে এবং নিজের শরীরে বাতাস লাগানোর পরে আপনি বাদাম কিসমিস ইত্যাদি খেয়ে কাজে লেগে যেতে পারেন।

Join Our Tech Telegram Channel

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করে তুলুন
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশিরভাগ যুবক রাত জেগে মোবাইল দেখে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আপনি যদি রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনি ফজরের নামাজের পর অর্থাৎ ভোরে ঘুম থেকে উঠার জন্য কষ্ট করতে হবেনা। মেয়ে রাতে যত তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারবেন আপনি ভোরে তত দ্রুত উঠতে পারবেন। আবার নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য এমন আপনার স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর জন্য এবং সেই সাথে নিজের মেটাকে ঠিক রাখার জন্য ভরে ঘুম থেকে ওঠার কোন বিকল্প নেই। নীরব না জায়গায় যত দ্রুত ঘুমাবে না এবং মরে যত দ্রুত উঠবেন তত আপনি নিজেকে অলস মুক্ত হিসেবে দাবি করতে পারবেন।

সারাদিন আপনার ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন
মোবাইলের রেডিয়েশন আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সারাদিন মোবাইল দেখা এখন মোবাইলে বিভিন্ন রকমের এন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও দেখা আমাদের মস্তিষ্ককে নষ্ট করে দেয়। কেননা আমরা যত মজার মজার ভিডিও দেখব আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীর তত বেশি ভিডিও দেখতে আগ্রহী হবে। তাই নিজেকে যদি অলস মুক্ত করতে চান তাহলে মোবাইল দেখা কমিয়ে দিন। প্রয়োজন ছাড়া মোবাইলের শস্পর্শে না আসার চেষ্টা করুন।

Read More : ইউটিউব অ্যালগরিদম (Youtube Algorithm) কিভাবে কাজ করে সম্পূর্ণ গাইডলাইন

অযথা চিন্তা করা বন্ধ করুন
মানুষের জীবনের সমস্যা লেগে থাকতেই পারে। সমস্যা গুলোকে খুব সহজে সমাধান করার চেষ্টা করুন। ছোট্ট ছোট্ট সমস্যা নিয়ে যদি আপনি সারাদিন চিনতাম না করেন এবং চিন্তা করা বন্ধ না করেন, তাহলে আপনার কাজে অনাহা দেখা দেবে এবং নিজেকে অলস হিসেবে দেখতে পাবেন। তাই যতও সম্ভব নিজেকে চিন্তা করা বন্ধ করে দিন এবং সব সময় নিজেকে চিন্তা মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

নিজেকে কিছু কাজে ব্যস্ত রাখুন
আমরা যখন নিজেরা কাজ করতে চাইব তখন আমাদের চতুর্পাশে আমরা কাজ দেখতে পাবো। যদি আপনি কাজ করতো না চান তাহলে আপনি কাজ খুঁজে পাবেন না। যদি নিজেকে অলস মুক্ত হিসেবে দাবি করতে চান তাহলে খুঁজে খুঁজে কাজ বের করে কাজ করার চেষ্টা করুন। আমি যত বেশি কাজ করবেন আপনার শরীর থেকে অলসতা তত বেশি দূর হবে। তাই যত সম্ভব নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন।

জীবনের সফল হওয়ার জন্য নিজেকে অলস মুক্ত করতে হবে। আপনি যদি নিজের শরীরের অলসতা দূর করতে না পারেন তাহলে আপনি নিজেকে কখনো সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন না। তাই নিজেকে সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজেকে অলস মুক্ত করা জরুরী।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *