• Home
  • Lifestyle
  • মানুষ প্রতারনার স্বীকার হয় কেন ? কারা বেশি প্রতারণার স্বীকার হয় ?
মানুষ প্রতারনার স্বীকার

মানুষ প্রতারনার স্বীকার হয় কেন ? কারা বেশি প্রতারণার স্বীকার হয় ?

Spread the love

মানুষ প্রতারনার স্বীকার হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আমাদের সমাজে হরেক রকমের মানুষ দেখা যায়। যারা নিয়মিত মানুষ প্রতারনার স্বীকার হয়। তার মধ্যে যারা বেশি সহজ-সরল সেসব মানুষ বেশি প্রতারনার স্বীকার হয়। আজকের এই ব্লগে মানুষ প্রতারনার স্বীকার হওয়ার মূল কারণগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব। মূলকথা হচ্ছে, মানুষ মূলত কয়েকটি কারণে মানুষ প্রতারনার স্বীকার হয়।

অতিরিক্ত বিশ্বাস (Trust)
মানুষ সহজে যে কাউকে বিশ্বাস করতে চায়, বিশেষ করে আমাদের সমাজেপরিচিত মানুষ বা যে কেউ বন্ধুত্বের ভান করে। আমাদের এই বিশ্বাসকে দুর্বলতা হিসেবে কাজে লাগায় প্রতারকরা। তাই আপনি কোন ব্যক্তিকে সহজে বিশ্বাস করবেন না। আগে তার সম্পর্কে বোঝার জন্য আপনি আরো বেশি সময় নিতে পারেন। আপনি দীর্ঘ সময় ব্যয় করার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে এই মানুষটাকে আপনি অন্ধ বিশ্বাস করবেন নাকি করবেন না।তাই আগে মানুষকে জানুন ও বুঝুন তারপর তাকে বিশ্বাস করুন।

লোভ (Greed)
আমরা অতিরিক্ত লাভের আশায় বা দ্রুত সফলতার লোভে আমরা অনেক সময় যাচাই না করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিই। উদাহরণ-কিছু ভুয়া ইনভেস্টমেন্ট অফার, কিছু লটারির প্রলোভন ইত্যাদি। তাই আপনার জীবনে যদি কোনো অতিরিক্ত লোভ থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেষ্টা করুন। তাই আপনি লোভের আশায় কোন মানুষকে দ্রুত বিশ্বাস করতে যাবেন না। তাতে আপনি প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকবে।

Read more : ২০৩০ সালে অনলাইন থেকে ইনকাম করার ১০ টি সেরা মাধ্যম

অজ্ঞতা (Lack of Awareness)
আমাদের দেশে প্রতারকরা যেসব কৌশল বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সেগুলোর সম্পর্কে আমরা না জানার কারণে মানুষ আমাদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। আমাদের সমাজে বিশেষ করে অজ্ঞ মানুষ গুলোই বেশি প্রতারনার স্বীকার হয়। আপনি অজ্ঞ হলেও আপনাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে প্রতারণার বিষয়গুলো নিয়ে। আপনার যদি কোথাও মনে হয় যে আপনি প্রতারিত হবেন তাহলে আপনি একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি থেকে আপনি কোন পরামর্শ নিতে পারেন। তাতে আপনি প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে পারেন।

মানবিক দুর্বলতা (Emotional Manipulation)
ভয়, ভালোবাসা, সহানুভূতি বা তাড়াহুড়া মুলত এই আবেগগুলোকে ব্যবহার করে আমাদের জন্য অনেকে প্রতারনার ফাঁদ পাতে। যেমন কারও বিপদে পড়ার ভুয়া গল্প বলে টাকা চাওয়া। তাই কারো সুন্দর কথা এবং দুর্বল কথায় আপনি নিজেই দুর্বল হয়ে যাবেন না। মানবিক দুর্বলতার কারণে আপনি প্রতারণার শিকার হতে পারেন। তাই নিজেকে সবসময় শক্ত রাখুন। নিজেকে শক্ত রাখুন তাহলেই আপনি প্রতারনার স্বীকার হবেন না।

সচেতনতার অভাব (Carelessness)
কাগজপত্র না পড়ে সই করা, কোনো যাচাই ছাড়া তথ্য শেয়ার করা—এসব অসতর্ক আচরণও বড় কারণ।আমরা যখন জমি জায়গা অথবা ফ্ল্যাট কিনি তখন কাগজপত্র সম্পূর্ণ না পড়ে আমরা সই করে ফেলি। একটা মাত্র স্বাক্ষর আমাদেরকে অনেক বড় প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। তাই আপনি যদি নিজের কাগজপত্র পড়তে না জানেন যে কারো মাধ্যমে কাগজপত্র পড়িয়ে নিয়ে তারপর আপনি স্বাক্ষর করার চিন্তাভাবনা করুন।

JOIN TECH TELEGRAM CHANNEL

প্রযুক্তির অপব্যবহার (Tech Exploitation)
ইন্টারনেট, ফোন, ভুয়া ওয়েবসাইট, ফেক আইডি—সবই প্রতারণার হাতিয়ার হয়ে গেছে।বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হচ্ছে। বর্তমানে এমন একটি যুগ চলে আসছে যে কোন মিথ্যা বিষয়কে আপনি সত্য হিসেবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার কোন পোস্ট কিংবা ভিডিও দেখা মাত্রই আপনি বিশ্বাস করবেন না। তার সম্পর্কে সত্যতা যাচাই করুন তারপর তার বিশ্বাস করুন অন্যথায় আপনি প্রতারিত হবেন।

সংক্ষেপে বলতে গেলে মানুষ প্রতারিত হয় মূলত বিশ্বাস, লোভ, অজ্ঞতা এবং আবেগের কারণে। সচেতনতা ও যাচাই-বাছাই এই সমস্যার বড় প্রতিকার।
তাই আমাদেরকে বিশ্বাসটা কমাতে হবে মানুষের উপর থেকে এবং নিজের লোভ সামলাতে হবে। নিজে অব্য হলে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে হবে এবং নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে চলাফেরা করতে হবে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *