• Home
  • Lifestyle
  • মানুষের স্বভাব বোঝার ২০ টি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত জেনে নিন
মানুষের স্বভাব

মানুষের স্বভাব বোঝার ২০ টি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত জেনে নিন

Spread the love

মানুষের স্বভাব বোঝার উপায় হচ্ছে তার সম্পর্কে একটু বিশ্লেষণ করা। এক এক মানুষের স্বভাব এক এক ধরনের হতে পারে। আপনি যদি কারো স্বভাব বুঝতে চান তাহলে তার চলাফেরা ও গতিবিধি এবং কথাবার্তা মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করুন। আজকের এই আর্টিকেলে একজন মানুষের স্বভাব বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

গলা ভারি হওয়া
যদি কারো কথা বলার সময় গলা ভারী হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিবেন সে রাগান্বিত।

হঠাৎ স্বর নিচু হওয়া
কথা বলার সময় হঠাৎ করে যদি কারও সর নিচু হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সে ভয় পেয়েছে অথবা গোপন কথা বলার চেষ্টা করছে।

দ্রুত কথা বলা
কেউ যখন কথা বলার সময় দ্রুত কথা বলে তারমানে সে উত্তেজিত অবস্থায় আছে অথবা নার্ভাস অবস্থায় আছে।

ধীরে কথা বলা
কারো সামনে দুরে কথা বলা মানে তার সামনে পরিকল্পনা পরে কথা বলা এমন আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলা। তাই কেউ যদি দূরে কথা বলে তার মানে সে আত্মবিশ্বাসী এবং পরিকল্পনাকারী।

কণ্ঠ কাঁপা
কথা বলার সময় যদি কারো কন্ঠে কেঁপে ওঠে তারমানে সে বয় আছে এবং আবেগী।

হাসির সাথে কথা
কেউ যদি হেসে হেসে কথা বলার অথবা কথা বলার মাঝে মাঝে হাসে তার মানে সে আন্তরিকতার সাথে কথা বলছে।

শব্দ জড়িয়ে আসা
ধরুন কেউ কথা বলছে এবং তার কথা বলার স্টাইল শব্দ জরিয়ে আসার মত অর্থাৎ তার কণ্ঠ বাড়ি হয়ে যাওয়া এরকম যদি হয় তার মানে তার মাঝে মাতাল ভাব আছে বা আবেগপ্রবণতা কাজ করছে।

হঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়া
কথা বলতে বলতে কেউ যদি হঠাৎ চুপ হয়ে যায় অথবা সারাদিন এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করা ব্যক্তি যদি হঠাৎ করে চুপ হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিবেন সে অস্বস্তিবোধ করছে বা চিন্তা করছে।

প্রশ্নের বদলে অন্য বিষয় তোলা
কেউ যদি হঠাৎ করে প্রশ্ন বদল করে অথবা এক প্রশ্ন বাদ দিয়ে আরেকটা বিষয় চলে যায় তাহলে মনে করবেন সে বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে।

এক প্রশ্নে দীর্ঘ উত্তর
কাউকে যদি আপনি প্রশ্ন করেন অথবা সে যদি সে প্রশ্নের দীর্ঘ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে তার আত্মপক্ষ সমর্থন।

বারবার ‘আসলে’, ‘মানে’ বলা
কথা বলার সময় আমরা কথায় কথায় আসলে শব্দটা উচ্চারিত করি বেশি। যদি এমন হয় যে কেউ কথা বলার সময় আসলে এই শব্দটা বেশি উচ্চারণ করছে তার মানে সে প্রস্তুত নয়।

সোজা উত্তর দেওয়া
কে প্রশ্ন করলে সে যদি সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়ে দেয় তার মানে আত্মবিশ্বাস।

রুক্ষ স্বর
কথা বলার সময় তার কন্ঠ যদি রুক্ষ স্বর উচ্চারিত হয় তার মানে রাগ  বা অবজ্ঞা প্রকাশ পায়।

নরম স্বর
কথা বলার সময় কেউ যদি নরম সুরে কথা বলে তার মানে সহানুভূতি বা ভালোবাসা প্রকাশ করছে।

মাঝেমাঝে হেসে থেমে কথা বলা
কারো কথা বলার ধরন যদি এমন হয় যে কথা বলার মাঝে মাঝে সে হেসে হেসে থেমে থেমে কথা বলতেছে তার মানে সে খুশি।

শব্দে জোর দেওয়া
কথা বলার সময় কথাই যদি সে জোর দিয়ে কথা বলে তার মানে গুরুত্ব বোঝাতে চাচ্ছে।

বিরতি নিয়ে কথা বলা
অনেকে এমন হয় যে কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে করে কথা বলে। কথার মাঝখানে বিরতি নিয়ে কথা বলে। তার মানে ঐ ব্যক্তি খুব চিন্তাশীলতা।

স্বর উঁচু হয়ে যাওয়া
আমরা যখন রেগে যাই আমাদের কণ্ঠস্বর আওয়াজ বেড়ে যায়। অথবা আমাদের কথার স্বর উঁচু হয়ে যায়। যদি এমন হয় যে কেউ কথা বলার সময় তার স্বর উচু হয়ে যাচ্ছে তার মানে সে উত্তেজিত।

একই টোনে কথা বলা
কেউ যখন কথা বলে তখন কটার টোন চেঞ্জ করে আবার অনেকেই আছে যারা কথা বলার সময় একই সুরে কথা বলাই যায়। যদি এমন হয় যে কেউ এ কয়জনে কথা বলতে চাই তার মানে বিরক্তি বা ক্লান্তি।

বাক্যের শেষে কণ্ঠ উঁচু করা
মানুষ যখন কথা বলে এবং কথা বলার সময় তার বাক্যের শেষে কন্ঠ উঁচু করে তার মানে প্রশ্ন বা অনিশ্চয়তা।

মানুষের স্বভাব বুঝতে চাইলে তার কথার স্টাইল আপনাকে বুঝতে হবে। মানুষের কথার ভাবভঙ্গি এমন স্টাইল বুঝতে পারলে আপনি সে মানুষের স্বভাব সম্পর্কে জানতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলে একজন ব্যক্তি কিভাবে কথা বলতে পারে এবং তার কথার স্টাইল কত ধরনের হতে পারে তা আলোচনা করা হয়েছে। আপনার সাথে একজন মানুষের স্বভাব পরিপূর্ণরূপে বুঝতে চান তাহলে উপরের এই কণ্ঠস্বর গুলো আপনাকে মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করতে হবে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *