• Home
  • Online Income
  • ইউটিউব থেকে ইনকাম (Youtube Earning) করার বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে সম্পূর্ণ গাইড লাইন
ইউটিউব থেকে ইনকাম (Youtube Earning)

ইউটিউব থেকে ইনকাম (Youtube Earning) করার বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে সম্পূর্ণ গাইড লাইন

Spread the love

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য একাধিক উপায় আছে। শুধুমাত্র AdSense দিয়ে নয়। Adsense ছাড়াও অনেকেই ইউটিউব থেকে বিভিন্নভাবে ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে এডসেন্সের বিকল্প হিসেবে আরও বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকে আপনাদের সাথে বাংলাদেশে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জনপ্রিয় কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করব।

Google AdSense (গুগলের বিজ্ঞাপন)
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে Youtube Adsense।
কিভাবে কাজ করে: আপনার ইউটিউব ভিডিওগুলোতে YouTube বিজ্ঞাপন দেখাবে।দর্শক আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলো দেখার সময় ওই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। ক্লিক করার ফলে আপনার ইনকাম হবে। এডসেন্সের ইনকাম দেশভেদে ভিন্নতা রয়েছে।

Adsense থেকে ইনকামের যোগ্যতা (Youtube Monetization )
Google AdSense ইনকাম করতে চাইলে আপনার চ্যানেলে ন্যূনতম ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং
বিগত ১২ মাসে ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম বা ১০ মিলিয়ন Shorts ভিউ থাকতে হবে (৯০ দিনে)। আপনি যখন এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারবেন তখন ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনার চ্যানেল রিভিউ করে দেখবে এমন পরবর্তীতে আপনাকে ইনকামের সুযোগ তৈরি করে দিবে।
যাবে আমরা YouTube Partner Program (YPP) বলি।
ইউটিউব চ্যানেলের সাথে আপনাকে একটা Google AdSense  যোগ করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি youtube এর পেমেন্টগুলো নিতে পারবেন।

JOIN TECH CTG TELEGRAM CHANNEL

YouTube Shorts Bonus (Shorts Fund)
ইউটিউব সটস ভিডিও বা ছোট ভিডিও (Shorts) বানিয়ে যদি ভালো পারফর্ম করতে পারেন , তাহলে YouTube নিজেই আপনাকে বড় অংকের টাকা দিতে পারে।
বাংলাদেশ/ভারতের জন্য এই ফিচার টি ২০২৪ থেকে চালু করা হয়েছে। তাই আপনার চ্যানেলে নিয়মিত ছোট ভিডিও আপলোড করতে থাকুন। আপলোড করলে যেমন আপনার ইনকাম বাড়বে তেমন আপনার চ্যানেল দ্রুত সাবস্ক্রাইবার বাড়বে।

স্পনসরশিপ (Sponsorship/Brand Deal)
যেকোনো একটি কোম্পানি বা ব্র্যান্ড আপনার ইউটিউব ভিডিওতে তাদের পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করতে বলবে।
আপনি সেটার বিনিময়ে টাকা বা ওই পণ্যটি নিতে পারবেন। পাওয়ার জন্য আপনার চ্যানেলে মিনিমাম ৫০ হাজার – ১ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে আপনার স্পন্সরশীপের দাম তত বেশি হবে। শীতের চিন্তা না করে আপনার চ্যানেলটি দ্রুত রেঙ্কে নিয়ে আসুন এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
কিভাবে হয়:
আপনি চাইলে আপনার ভিডিওতে যে কোন একটি পণ্যের লিংক দিতে পারেন। (যেমন Amazon, Daraz ইত্যাদি।)
কেউ যদি আপনার লিংক এর মাধ্যমে পণ্য কিনে, তাহলে আপনি ওই কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন পাবেন।এভাবে আপনি যেকোনো একটি কোম্পানির মাধ্যমে মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে।

নিজের পণ্য বা কোর্স বিক্রি করা
আপনি আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার পণ্য এবং আপনার যেকোনো একটি কোর্স বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন নিজের ডিজাইন করা যেকোনো প্রোডাক্ট (T-shirt, mugs) ইত্যাদি।
আপনি নিজের যেকোনো অনলাইন কোর্স অথবা অন্য যে কারো অনলাইন কোর্স আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রমোট করে তার কাছ থেকে কমিশন নিতে পারবেন।

Read More : ইউটিউব থেকে ইনকাম (Youtube Earning) করার বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে সম্পূর্ণ গাইড লাইন

মেম্বারশিপ ও সুপারচ্যাট (Live Streaming Income)
Channel Membership: একজন দর্শক মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে আপনার চ্যানেল থেকে বিশেষ সুবিধা নিতে পারবে।
Super Chat: আপনি যখন কোন লাইভ চালু করবেন তখন লাইভে দর্শক টাকা দিয়ে তার কোন ব্যক্তিগত ম্যাসেজ হাইলাইট করবে। আপনি এই সুবিধা পেতে চাইলে আপনার চ্যানেলে monetization অন থাকা লাগবে।

Freelance ও সার্ভিস প্রোমোশন
আপনি যদি কোনো কাজ পারেন (যেমন : গ্রাফিক্স ডিজাইন, মিউজিক, এডিটিং, কোচিং) তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমে নিজের দক্ষতা বা সার্ভিসের কথা প্রচার করে খুব সহজে ক্লায়েন্ট পেতে পারেন।

উপরে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো মূলত বাংলাদেশের খুব বেশি পরিমাণে চলমান রয়েছে। এর বাইরেও ইউটিউব থেকে আরো অনেক বিষয়ের উপর ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। তবে এসব ইনকামের দিকে ফোকাস না করে আপনার উচিত হবে কিভাবে নিজের চ্যানেলটাকে উপরে নিয়ে যেতে পারেন। দর্শকের উপকার আসে এমন ভিডিও আপলোড করুন তাহলে দেখবেন আপনার চ্যানেল খুব দ্রুত গ্রো করবে। কোন বুয়া বিষয়ের উপর ভিডিও নির্বাচন করবেন না তাতে আপনার দর্শকরা আপনার চ্যানেলের প্রতি বিরক্ত হবে।  


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *