• Home
  • Social Media
  • ২০৩০ সালে সাইবার সিকিউরিটি টিপস সম্পর্কে দশটি গুরুত্বপূর্ণ আইডিয়া
সাইবার সিকিউরিটি টিপস

২০৩০ সালে সাইবার সিকিউরিটি টিপস সম্পর্কে দশটি গুরুত্বপূর্ণ আইডিয়া

Spread the love

সাইবার সিকিউরিটি টিপস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০৩০ সালের জন্য ১০টি আধুনিক ও প্রয়োজনীয় সাইবার সিকিউরিটি টিপস নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যা পার্সোনাল ফিন্যান্স, ডিজিটাল লাইফস্টাইল, সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন লেনদেন সুরক্ষার জন্য আপনাদ দারুণ কাজে আসবে। প্রতিটি টিপস বাস্তবভিত্তিক এবং ২০৩০-এর সম্ভাব্য ডিজিটাল হুমকি বিবেচনায় তৈরি। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে এখন থেকে সতর্ক হয়ে যান তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে আর সাইবার সিকিউরিটি টিপস নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে না।

২০৩০ সালের জন্য ১০টি সিকিউরিটি টিপস

পাসওয়ার্ড নয়, এখন ‘পাসফ্রেইজ’ ব্যবহার করুন
২০২৫ এর পর থেকে পাসওয়ার্ডের বদলে “পাসফ্রেইজ” ব্যবহার করুন। যেমন: Ami@Boro_Ranna_Kori2025! ব্যবহার নিরাপদ ধরা হয়। কারণ এটি অনুমান করা বা ব্রুটফোর্স দিয়ে হ্যাক করা অনেক কঠিন। বর্তমানে আমরা সাধারণত আট থেকে দশটি সংখ্যার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি। যা বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ। তাই পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে পাসফ্রেইজ ব্যবহার করুন।

বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন চালু রাখুন
ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি বা ভয়েস স্ক্যানের মতো বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি এখন অনেক সঠিক। আপনার মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাপে এ অপশন চালু করুন। কারণ হচ্ছে যে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়া বিভিন্ন পাসওয়ার্ড ফেক আইডি বয়েজ সিস্টেম যে কোন মুহূর্তে আপনার জন্য হুমকি স্বরুপ হতে পারে। তাই এখন এসবের চেয়ে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন কূপ নিরাপদ বলে ধরে নেওয়া হয়।

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন করুন

ফিশিং প্রতিরোধে ‘লিংক হাইজিন’ মেনে চলুন
অজানা ইমেইল, এসএমএস বা WhatsApp মেসেজে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। যাচাই করার চেষ্টা করুন। শেষে. Com/.Org/.Net এই টাইপের সাইটগুলো নিরাপদ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। অচেনা বা অপরিচিত অথবা সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।

২FA বা মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখুন
বর্তমান সময়ে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ একটি সিকিউরিটি। যে কোনো অ্যাকাউন্টে ২-স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিন। যেমন: পাসওয়ার্ড + ফোনে কোড + ইমেইল কনফার্মেশন। প্রসেক্টর অথেনটিকেশন চালু করলে আপনি ৯০% নিরাপদ থাকতে পারবেন আপনার সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে।

VPN ব্যবহার করুন—বিশেষ করে পাবলিক Wi-Fi-তে
ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ে Wi-Fi ব্যবহার করলে অবশ্যই ভিপিএন চালু রাখুন। ফ্রি VPN নয়, বিশ্বস্ত সাবস্ক্রিপশন-বেইজড সার্ভিস বেছে নিন। কারণ ফ্রি ওয়াইফাই গুলোতে অনেক সময় আপনার ডাটা ট্রান্সফার হয়ে যেতে পারে। তাই যখনই আপনি ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন তখন আপনি আপনার মোবাইলে ভিপিএন চালু করার চেষ্টা করুন।

AI স্ক্যামিং চেনার স্কিল বাড়ান
২০২৭ সালের পর Deepfake ভিডিও ও AI-generated কণ্ঠ ব্যবহার করে স্ক্যাম বেড়ে যাবে। যা আপনি বর্তমান সময়ে দেখতে পাচ্ছেন। কারণ বর্তমানে এআইকে ব্যবহার করে অনেক ফেক ভয়েস এবং ফেক ভিডিও তৈরি করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে। কেউ ফোনে পরিচিত কারো মতো শোনালেই বিশ্বাস করবেন না। ভিডিও কনফারেন্স ছাড়া বড় লেনদেন এড়িয়ে চলুন। কারণ এখন আপনি যে কারো বয়স নকল করতে পারবেন খুব সহজে।

Read More : সফল ইউটিউবার (Success Youtuber) হওয়ার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

সব অ্যাপসের ‘ডাটা পারমিশন’ রেগুলার চেক করুন
কোন অ্যাপ কোন তথ্য নিচ্ছে? লোকেশন, কনট্যাক্ট, গ্যালারি—এসব প্রয়োজন না হলে বন্ধ করে দিন। অ্যান্ড্রয়েড/আইওএস সেটিংসে গিয়ে ২ মাস পর পর পর্যালোচনা করুন। কারণ বর্তমান সময়ে প্রতিটি অ্যাপস ব্যবহার করার সময় আপনার লোকেশন, কন্ট্রাক্ট, গ্যালারি এসব পারমিশন দিতে হয়। যদি এসব পারমিশন দেওয়ার প্রয়োজন না পড়ে তাহলে এসব পারমিশন দেওয়ার কোন দরকার নেই। অথবা পারমিশন দিয়ে ফেললে আপনি সে পার্মিশন বন্ধ করার চেষ্টা করুন।

ডিভাইস আপডেট ছাড়া ইন্টারনেটে লগইন নয়
ল্যাপটপ, মোবাইল বা ব্রাউজারে OS/সিকিউরিটি আপডেট ছাড়া কোন গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টে লগইন করবেন না। আপডেট মানে সিকিউরিটি শিল্ড। এই সিকিউরিটি শিল্ড ছাড়া আপনি আপনার ডিভাইসে কোন ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ইমেইল কিংবা ফেসবুক একাউন্টে লগইন করবেন না। যেখানে লগইন করবেন সে ডিভাইসের সিকিউরিটি নিশ্চিত করুন তারপর সেখানে আপনার ব্যক্তিগত একাউন্টের লগইন করুন।

ডিজিটাল উইল’ তৈরি করে রাখুন
২০২৮ সালের পর অনেকেই অনলাইন একাউন্ট ও ক্রিপ্টো সম্পদ উত্তরাধিকারীদের নামে দিয়ে যাচ্ছেন। আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অ্যাকসেস প্ল্যান একটি ডিজিটাল উইলে সংরক্ষণ করুন। কারণ ২০২৮ সালের পর এই ধরনের বিষয় নিয়ে স্কেমিং খুব বেশি পরিমাণে বেড়ে যাবে।

AI অ্যান্টিভাইরাস ও Zero Trust সিকিউরিটি চালু করুন
২০৩০ সালের নিরাপত্তা সিস্টেমে “AI-driven Antivirus” ও “Zero Trust Network” স্ট্রাকচার অপরিহার্য। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সার, রিমোট ওয়ার্কার ও স্টার্টআপদের জন্য। যারা অনলাইনে দিনরাত 24 ঘন্টা কাজ করে ইনকাম করেন তাদের জন্য এই এন্টিভাইরাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ২০৩০ সালের আগেই এই সব এন্টিভাইরাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন এবং নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান।

উপরে দশটি বিষয়ে আপনাদেরকে জানানো হলো। ২০৩০ সালের আগে এর চেয়ে বেশি রিসার্চ করে বের করা সম্ভব নয়। উপরের এই দশটি বিষয় যদি আপনি মেনে চলেন এবং উপরের এই দশটি বিষয় নিয়ে যদি আপনি জ্ঞান অর্জন করেন তাহলে ২০৩০ সালের পরে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আপনাকে চিন্তায় থাকতে হবে না। তাই সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন এবং নিজের লাইফকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিরাপদ রাখুন।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *